জাহান্নামের বিবরণ



"এমন এক সময় আসা বিচিত্র নয় যারা আজ ইসলামের দাওয়াত গ্রহন করতে অস্কীকার করছে, তারা অনুশোচনা করে বলবে: হায়, যদি আমরা অনুগত্যের শির নত করে দিতাম। ছেড়ে দাও এদেরকে খানাপিনা করুক, আমোদ ফূর্তি করুক এবং মিথ্যা প্রত্যাশা এদেরকে ভুলিয়ে রাখুক। শিগগির এরা জানতে পারবে। ইতিপূর্বে আমি যে জনবসতিই ধ্বংস করেছি তার জন্য একটি বিশেষ কর্ম-অবকাশ লেখা হয়ে গিয়েছিল। কোন জাতি তার নিজের নির্ধারিত সময়ের পূর্বে যেমন ধ্বংস হতে পারেনা"(আলহিজরঃ২-৫)

যারা আজ ইসলামকে পূর্ণাঙ্গরুপে গ্রহণ করতে অস্বীকার করছে তাদের জাহান্নাম সমর্পকে জ্ঞান থাকা উচিৎ। জাহান্নাম হচ্ছে বিচিত্র রকমের এক অসহনীয় যাতনার বিশাল কারাগার। জাহান্নামের আজাবের কারণে দৈহিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ এমন কি দেহের মধ্যে অবস্থিত হৃৎপিন্ড, নাড়ী-ভুড়ি, শিরা-উপশিরা, অস্তিমজ্জা ইত্যাদির বিকৃতি ঘটবে কিন্তু সেই তীব্র যন্ত্রণা মুক্তি পাবার অথবা পালিয়ে যাবার কোন রাস্তাও খোলা থাকবেনা।

মহান আল্লাহ বলেনঃ "আর তুমি কি জান, জাহান্নাম কি? তা শান্তিতে থাকতে দেয়না আবার ছেড়েও দেয়না। চামরা ঝলসে দেয়। ঊনিশ জন ফেরেশতা তার প্রহরী হবে।" (সুরা মুদ্দাসসিরঃ ২৭-৩০)

"
সে জাহান্নামে মরবেও না আবার জীবিতও থাকবেনা।" (আ'লাঃ ১৩)

"
তারা (জাহান্নামিরা) যখন সেখানে নিক্ষিপ্ত হবে, তখন তার ক্ষিপ্ততার তর্জন-গর্জন শুনতে পাবে। এবং তা উল্থাল-পাথাল করতে থাকবে, ক্রোধ আক্রশে এমন অবস্থা ধারন করবে মনে হবে তা গোস্বায় ফেটে পড়বে।"(সুরা মুলকঃ ৭-৮)

"
জাহান্নাম যখন দূর হতে তাদেরকে (জাহান্নামীদের) দেখতে পাবে তখন তারা তার ক্রোধ ও তেজস্বী আওয়াজ (অর্থাৎ তর্জন-গর্জন) শুনতে পাবে। আর যখন তাদেরকে হাত-পা বাধা অবস্থায় জাহান্নামের কোণ সংর্কীণ স্থানে নিক্ষেপ করা হবে তখন তারা সেখানে কেবল মৃত্যুকে ডাকতে থাকবে।" (সুরা ফরকানঃ ১২-১৩)
"
সুরা নাবায়ে বলা হয়েছে, নিশ্চয় জাহান্নাম একটি ঘাঁটি। আল্লাহদ্রহীদের জন্য আশ্রয়স্থল। সেখানে তারা যুগ যুগ ধরে অবস্থান করবে।" (সুরা নাবাঃ ২১-২৩)

No comments

Powered by Blogger.